ব্লুবেরির পরিচয়
ব্লুবেরি একটি বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক গুল্ম, যা নীল বা বেগুনি রঙের মিষ্টি বেরি দেয়। এটি ভ্যাকসিনিয়াম গণের সদস্য, যার মধ্যে ক্র্যানবেরি, বিলবেরি ও হ্যাকলবেরি অন্তর্ভুক্ত। মূলত উত্তর আমেরিকার স্থানীয় প্রজাতি লবুশ (বন্য) এবং হাইবুশ (চাষকৃত) ব্লুবেরি দুই ধরনের হয়ে থাকে। ইউরোপে ১৯৩০-এর দশকে হাইবুশ ব্লুবেরি পরিচিতি লাভ করে।
ব্লুবেরি গাছ সাধারণত ১০ সেন্টিমিটার থেকে ৪ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বেড়ে ওঠে। পাতাগুলো ডিম্বাকৃতি ও ভল্লাকার, আর ফুলগুলি ঘণ্টাকৃতির এবং সাদা থেকে গোলাপি, লাল বা সবুজাভ রঙের হয়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ হলেও পেকে গাঢ় বেগুনি রঙ ধারণ করে, যার পৃষ্ঠে থাকে পাতলা মোমের আস্তরণ বা ‘ব্লুম’। সাধারণত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত ফলন হয়, যা এলাকার জলবায়ু ও ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।
blue berry -এর উপকারিতা
-
blue berry অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা কোষের ক্ষয়রোধে সাহায্য করে
-
চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক
-
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং ব্রেইন হেলথ উন্নত করে
-
হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক
-
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে
-
হজমে সহায়তা করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
বৈশিষ্ট্য
-
ছোট, গোল, গাঢ় নীলচে-বেগুনি রঙের মিষ্টি ফল
-
ফলের গায়ে পাতলা মোমের আবরণ থাকে
-
ফুলগুলি ঘণ্টার মতো আকৃতির
-
গাছ ১০ সেমি থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে
-
মে-আগস্ট মাসে ফলন বেশি হয়
-
তাজা খাওয়ার পাশাপাশি জ্যাম, স্মুদি ও বেকিংয়ে বহুল ব্যবহৃত
blue berry (ব্লু বেরি) এর পরিচর্যা।
-
আলো: সরাসরি সূর্যের আলো প্রাপ্ত স্থানে রোপণ করুন
-
মাটি: অ্যাসিডিক ও ভালো জল নিষ্কাশনক্ষম মাটি পছন্দ করে
-
সেচ: মাটি আর্দ্র রাখুন কিন্তু জলাবদ্ধ নয়—বিশেষ করে বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা জরুরি
-
সার: নিয়মিত জৈব সার/কম্পোস্ট দিন
-
আগাছা নিয়ন্ত্রণ: গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখুন
-
সঠিক পরিচর্যায় গাছ থেকে প্রচুর সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল পাওয়া যায়