পার্সিমন (Persimmon) এর পরিচয়।
পার্সিমন (Persimmon) একটি সুস্বাদু ও চোখ ধাঁধানো বিদেশি ফল, যা দেখতে অনেকটা টমেটোর মতো হলেও স্বাদে বেশ আলাদা। এর মসৃণ খোসার নিচে থাকে জেলির মতো নরম, মধুর স্বাদের শাঁস। পার্সিমনের উৎপত্তি চীনে হলেও এটি জাপান, কোরিয়া, আমেরিকা সহ নানা দেশে জনপ্রিয়। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে এর সফল চাষ হচ্ছে। এটি হাইব্রিড জাতের ফলে অধিক ফলনশীল এবং দেখতে দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি।
আকমল বা পার্সিমন বৈশিষ্ট্য
পার্সিমন ফল সাধারণত গোল বা সামান্য চ্যাপ্টা আকারের হয়ে থাকে এবং পেকে গেলে কমলা বা গাঢ় হলুদাভ রঙ ধারণ করে। খোসা পাতলা ও চকচকে, এবং ভিতরে থাকে নরম, মিষ্টি শাঁস। ফলটি বীজবিহীন জাতেও পাওয়া যায়। এটি খেতে সুস্বাদু এবং অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়াও এটি ফ্রেশ, শুকনো কিংবা রান্না করা অবস্থাতেও খাওয়া যায়।
গুণাগুণ
পার্সিমন ভিটামিন A, C, E, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী। এটি হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি দারুণ কার্যকর। ডায়েট করতে চাওয়া মানুষদের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল।
যত্ন
পার্সিমন গাছ রোদ পছন্দ করে এবং ভাল ফলনের জন্য উর্বর, জলনিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত মাটি দরকার হয়। নিয়মিত পানি দেওয়া প্রয়োজন হলেও জমে থাকা পানি গাছের ক্ষতি করে। প্রতি মাসে জৈব সার বা কম্পোস্ট ব্যবহার করলে গাছ দ্রুত বাড়ে ও ফল দেয়। আগাছা পরিষ্কার রাখা ও গোড়া ঢেকে রাখা ভালো। ২-৩ বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসে।